তাহসিন বাহার সূচনা।।
এই সময়টায় সারাক্ষনই শুধু নিজের মুড সুইং বা ডিপ্রেশনকে আমল না দিয়ে , আপনার আশপাশের মানুষের সাথে ভাল আচরন করুন । হয়তো আপনার এবং তার পুরো দিনটাই পাল্টে যাবে । ছোট ছোট কাজ গুলোতে কারো জন্য আপনার নিজ থেকে বাড়িয়ে দেয়া হাতটা হয়তো এই সময় অনেকটা বড় সাপোর্ট হয়ে দাঁড়াবে ! খারাপ সময় আপনার দু একটা পজেটিভ কথা একটা মানুষকে অনেকটা কনফিডেন্ট করে তুলতে পারে । আবার ভিন্ন আচরনে এর পুরো ব্যতিক্রম ও হতে পারে ! তাই না?
আমরা সবাই একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি ! স্বার্থপর বা আত্মকেন্দ্রীক হওয়ার জন্য সময়টা ভীষন খারাপ ! ভেবে দেখুন, এই ছোট ছোট ব্যাপার গুলো যদি আপনার জীবনে পরিবর্তন আনতে পারে তাহলে আপনি এগিয়ে আসলে অন্য একটা মানুষের জীবনেও অনেক বড় ইমপেক্ট পরবে।
তাই-ঃ
Think good thoughts,
Say nice things,
Do good for others
After all there is something called
করোনা রোগীর পাশে দাড়ান
করোনা পজেটিভ কোন ব্যক্তি যদি ঘরের বাইরে বের হয়ে সাধারন মানুষের মাঝে চলাফেরা বা মেলামেশা করে সেক্ষেত্রে রোগীর থেকে সুস্থ মানুষের ঝুঁকি অনেক বেশী থাকে । তাই, রোগীর সুস্থতা এবং কমিউনিটি ট্রান্সমিশন এড়াতে করোনা সনাক্ত হলে চিকিৎসকরা রোগীকে অন্তত ১৪ দিন হোম আইসোলেশনে থাকতে পরামর্শ দেন।
দিন দিন আমাদের আশেপাশে করোনা সংক্রমনের সংখ্যা বেড়েই চলছে । এই মানুষ গুলোর মধ্যে এমন অনেকেই আছে যারা তাদের পরিবারের হয়তো একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য। অথবা একমাত্র ব্যক্তি যিনি ঘরের বাজার, শিশুদের খাবার বা বৃদ্ধ বাবা মার ঔষধ কিনতেন। এরকম সদস্যরা গৃহবন্দী হলে অবশ্যই তাদের পরিবারকে অনেকটা সমস্যায় পরতে হয়। কিন্ত দূঃখজনক হলেও সত্যি মানুষ রোগকে ভয় না পেয়ে রোগীকে ভয় পাচ্ছে !
হাতে হরলিক্সের বোতল আর ফলের প্যাকেট নিয়ে করোনা রোগীকে দেখতে যাওয়া সম্ভব না হলেও আমাদের আশেপাশে যারা আছেন, আমাদের উচিত অন্তত ফোনে তাদের খোঁজ খবর নেয়া। প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো তাদের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেয়া। আমাদের মনে রাখতে হবে যিনি ঘরে আছেন তিনি শুধু তার নিজের জন্য নয়, আমাদের সুস্থ রাখার জন্যেও ঘরে আছেন। তাই, এই সময় তাদের প্রতি লক্ষ্য রাখাও আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। মহান রাব্বুল আলামীন আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন এবং সুস্থতার নেয়ামত দান করুন। আমিন।
লেখিকা: সাধারণ সম্পাদিকা: জাগ্রত মানবিকতা।