মাহফুজ নান্টু।।
শাসনগাছা-মীরপুর সড়ক। ব্যস্ততম এ সড়কটির শাসনগাছা ঈদগা এলাকায় অন্তত দু’শো মিটারজুড়ে বড় বড় গর্ত রয়েছে। কাঁদাজল-গর্ত মিলে সড়কটির চলাচল অনুপোযোগী। তবুও জীবনের তাগিদে ওই ভাঙ্গা সড়ক পার হতে হয় বাহন চালক ও যাত্রীদের। খানাখন্দে ভরা ওই দু’শো মিটার সড়ক পার হতে যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের নিতে হয় জীবনের ঝুঁকি।
সরেজমিনে শাসনগাছা -মিরপুর সড়কের ঈদগা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দু’শ মিটারজুড়ে বড় বড় গর্ত। তাতে বৃষ্টির পানি জমে ছোট কুপের সৃষ্টি হয়। আর এখন সংস্কারহীন থাকার কারনে গর্তগুলো এখন ছোট কুপে পরিনত হয়েছে। আর এমন গর্তকে পাশ কাটিয়ে চলতে গিয়ে গত দু’ বছরে অন্তত ৫০ টি ব্যাটারি ও সিএনজি চালিত অটোরিকসা ও পিকআপ ভ্যান বিকল হয়ে গেছে। দূর্ঘটনায় পড়ে আহত হয়েছে অসংখ্য মানুষ।এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের বক্তব্য, বাবা মা না থাকলে যেমন এতিম সন্তানদের অবস্থা যেমন হয় ঠিক তেমনি এই সড়কটির অবস্থাও তেমনি। মনে হয় এটিও একটি এতিম সড়ক। এই সড়কটি দেখার মত মনে হয় কেউ নেই। তাই দূর্ভোগকে সাথি করেই চলছি আমরা।
ওই সড়কে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালাক ওবায়দুল, আরমান ও শহীদ মিয়া জানান, সড়কটির এ অংশে গত কয়েক বছর সংস্কার নেই। গর্ত পাশ কাটিয়ে চলতে গিয়ে তাদের সিএনজি বেশ কয়েকবার দূর্ঘটনার শিকার হয়। তাদের দাবি জিবির টাকা দেন। তাহলে সড়ক কেন সংস্কার হবে না। দেশে সরকার আছে। জনপ্রতিনিধি আছে। সরকারী কর্মকর্তা আছে তাহলে কেন সংস্কারহীন থাকবে সড়কটি।
স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন জানান, সড়কটির ওই দু’শো মিটার গত ২/৩ বছর ধরে সংস্কার নেই। প্রায়ই দূর্ঘটনার পড়া যান বাহনের যাত্রী ও চালকদের চিৎকার চেচামেচিতে তাদের সকালের ঘুম ভাঙ্গে। সড়কটির ভাঙ্গা অংশে ছোটখাটো দূর্ঘটনা এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শাসনগাছা ঈদগা এলাকার আরেকজন বাসিন্দা সেলিম জানান, সড়কটি দিয়ে কত ভিআইপি যাতায়াত করে। সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যাতায়াত করে। কারো চোখেই পড়ে না সমস্যাটি। সেলিম মিয়া প্রশ্ন রেখে বলেন,এই সমস্যা সমাধানের জন্য কারো কোন দায়িত্ব নেই?
বিষয়টি নিয়ে কুমিল্লা সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী ড.আহাদ উল্লাহ জানান, সড়কের শাসনগাছা অংশটি সংস্কারের জন্য বেশ কয়েকবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। এখনও সে আবেদন মঞ্জুর হয় নি। কবে নাগাদ সড়কটি সংস্কার করতে পারবেন এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাহী প্রকৌশলী ড.আহাদ উল্লাহ জানান, আপাতত বলতে পারছি না।