চান্দিনা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার চান্দিনায় পুকুরে ভেঙ্গে পড়ছে রাস্তা,ভেঙ্গে পড়ছে মানুষের ঘর-বাড়ি। উপজেলার জোয়াগ ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের ৯২ শতাংশের ওই পুকুরটি এলাকার মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে!
জানা যায়- জোয়াগ ইউনিয়নের জোয়াগ মৌজার ৯২শতাংশের খাস পুকুরটি প্রতি তিন বছর পরপর ইজারা দেয় উপজেলা ভূমি অফিস। যারাই ইজারা নেয় তারাই যে যার মত সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও যথাযথ পরিকল্পনা ছাড়া মৎস্য চাষ করে আসছে। পুকুরটির পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত পানিতে টইটুম্বুর হয়ে ধ্বসে পড়ছে পুকুরের চার পাড়। ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে পুকুরের পশ্চিম পাড়ে থাকা একটি কাঁচা সড়ক। যে সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতো পুকুর পাড়ের অন্তত ২৪টি পরিবারের সদস্যরা। পুকুরের পশ্চিম-দক্ষিণ কোণে থাকা মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসতো শতাধিক মুসল্লি। পানি পেরিয়ে প্রতিদিন মসজিদে যাতায়াত করছেন তারা। পুকুরটির দক্ষিণ পাড় ধ্বসে পড়ায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে পাড়ে থাকা কয়েকটি বাড়ির বাসিন্দা ও মুসল্লিরা।
নোয়াগাঁও পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা আবু ইউসুফ জানান- প্রায় ১২ বছর যাবৎ আমি এই মসজিদের ইমাম। পুকুরটির চার পাড় অনেক প্রশস্ত ছিল। পশ্চিমপাড়ে একটি কাঁচা সড়ক ছিল। সবকিছু পুকুরে বিলীন হয়ে গেছে। মুসল্লীরা মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসতে পারছে না। সকালে মক্তবে আসতে পারছে না এলাকার ছোট ছেলে-মেয়েরা। পুকুরটির পানি নিস্কাশন করে পাড় বাঁধাইসহ সড়ক নির্মাণ করা একান্ত প্রয়োজন।
স্থানীয় বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন জানান- এই পুকুরের পশ্চিমপাড়ের সড়কটি দিয়ে এলাকার শতশত কৃষক মাঠ থেকে ফসল ঘরে উঠাতো। কিন্তু এখন সড়কের কোন চিহ্ন নেই। পুকুরটিতে ড্রেজিং করে মাটি কাটার কারণে এখন পুকুরের চার পাড় ধ্বসে পড়ছে। আমাদের বাড়ি-ঘরও ভেঙ্গে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ জানান- নিয়মানুযায়ী যারাই পুকুর ইজারা নেন তারাই পুকুরের পাড়ে মাটি ফেলে মৎস্য চাষ করার কথা। কিন্তু সেটাও যদি তাদের সাধ্যের বাহিরে হয় তাহলে তারা লিখিত ভাবে আমাদের অবহিত করবে। আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।