স্টাফ রিপোর্টার।।
মরে যামুরে! মরে যামু! আমারে ছাড়িদে! কিন্তু বাঁচার শেষ আকুতিও পৌঁছায়নি পাষণ্ড বাবুলের কানে। ছাড়েননি হাশেম মিয়াকে। মুহূর্তেই লুটিয়ে পড়লেন রাস্তার ওপর। এত রাতে বাজারের কোথাও কেউ নাই। আমি কাউরে না পাইয়া গেলাম বাজার কমিটির সভাপতি জাবেদের বাড়ি। জাবেদ আইসা হাশেমরে ডাক্তারের কাছে নিল। তখন হাশেমরে জিন্দা পায়নাই। তহন বুঝলাম হাশেম আর নাই। আর এর মধ্যে বাবুল মিয়াও পালাইয়া যায়। হাশেম আর আমি সারা রাত গল্প কইরা জাইগা থাকতাম। কখনও আগুন পোহাইয়া, আবার কখনও বুট-বাদামের ঝুড়ি লইয়া বইসা রাইত পার করতাম। এই এসব কথা বলছিলেন হাশেমের সহযোগী সুরুজ মিয়া। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি আরো বলেন, সাত মাইয়া হাশেমের এহনও চারইটা মাইয়ার বিয়ার বাকি। কেমনে কি করব এই মাইয়াগুলারে নিয়া মাথায় ধরে না আমার।
বরুড়া থানার ওসি ইকবাল হোসেন জানান, মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। তারা অভিযোগ দিয়েছেন। ময়নাতদন্তের পর আমরা ব্যবস্থা নেব। এখন পর্যন্ত এর বেশি বলা যাচ্ছে না।